লেখক: অরবিন্দ চক্রবর্তী
প্রকাশনী: বেহুলাবাংলা
প্রচ্ছদ : শতাব্দী জাহিদ
ধরন : কবিতা
পৃষ্ঠা : ৬৪
মলাট মূল্য : ১৭৫ টাকা
বয়ানের ক্ষেত্রে জাক দেরিদার মতো ডিফারেন্স মানা এবং ডিফারেন্স ভাঙা অরবিন্দ চক্রবর্তীর কবিতার অনিবার্য কৌশল। সময় ও মানুষের বৈচিত্র্যে যেকোনো বয়ানের ‘কনটেক্সট’ পালটে যেতে বাধ্য। কারণ টেক্সট ব্যক্তির বয়ান বটে, অথচ তার পাঠক অসংখ্য। পাঠের পদ্ধতি, পাঠের মনস্তত্ত্ব আর পাঠ-ব্যাখ্যার সংস্কার বহুমাত্রিক। এ কারণেই দেরিদার মতো কবিতার বয়ানের ক্ষেত্রেও বলা সম্ভব, কবিতার টেক্সট মূলত ‘সিস্টেম অফ ডিফারেন্স’, যেখানে বয়ানের মর্মপাঠে থাকে অজস্র রূপ ও রূপান্তর, ক্রিয়া ও ক্রীড়া : যা জাদু বটে। সে-অর্থে অরবিন্দ জাদুকর তো বটেই সেইসাথে তার কবিতার বয়ান প্রকৃত প্রস্তাবে ‘সিগনিফাইয়ার’ অর্থাৎ দ্যোতকরাশির অনন্ত সম্ভাবনার এক এক্সক্লুসিভ মঞ্চ, যেখানে উপস্থিত রয়েছে মাউথপিস ও রিসিভার। সেই মাউথপিসের আড়ালে রয়েছে চেতনা-উন্মোচক ও মর্মোন্মোচক অনুশীলন— যা বহুস্বরপূর্ণ বিপজ্জনক প্রতিসংকেত দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। ফলে তার কবিতা প্রথাগত ভাষিক ব্যাকরণ ও বাগার্থকে অস্বীকার করে নতুন ভাষিক সংকেত, প্রতিসংকেত, অধিসংকেতের বয়ানভূমি হাজির করতে বাধ্য থাকে; যেখানে বিরাজ করে এক শব্দ থেকে আরেক শব্দের ভেতর গ্রহান্তরের ফারাক— এই ফারাক থেকেই অরবিন্দ চক্রবর্তীর কবিতার বাগার্থ আমাদের প্ররোচিত করে।
© শিমুল মাহমুদ