সবুজের ওপাস থেকে নিঃশ্বাসের শব্দশুনে
মনে হয় বেঁচে আছে জীবনের স্পন্দন,
পৃথিবীর শীতলতায় জমেনি ফসিল।
গ্রীল ছাড়িয়ে দৃষ্টি খোঁজে সীমানা,
আলপথ বেয়ে হেটে চলে মাকড়সার দল।
যেখানে জলজ লতাগল্ম ছুঁয়ে থাকে-
আড়ের প্রান্ত,
ছোট ছোট ঢেউ খেলে যায় জলাশয়ে-
গভীর বিষ্ময়ে।
সেখানে লালের গভীরতায় উঠে দাড়ায় চঞ্চল
উত্থান পতনের নিঃশব্দ ছাঁয়ার মতো-
তখনো বেঁচে থকে বেঁচে থাকবে মহাকাল।
একটি আগুন পাখি বেঁচে থাকে
সম্ভাবনার স্বপ্ন দেখে,
যত্নে যত্নে বেড়ে ওঠা বৃক্ষের মত
অপর বৃক্ষ ছাঁয়ে।
কী এক অণত্যমিল এক অপরের
সান্নিধ্য কামনায়
অন্তের পরে প্রথম প্রজন্ম
নিভে যাওয়া স্তুপ
প্রজ্বলনে ধাবিত হয় কারণে
গভীর মমতা
অপ্রতুল আত্নদানে-
নিঝুম রাতের গ্রামের ষ্টেশন
আলো নেই
এখন আর কোন ট্রেন থামেনা সেখানে
ষ্টেশন মাষ্টার, পয়েন্টসম্যান, পোর্টার…..
অল্প দূরের কেবিন ঘরটা
সেখানেও লোক নেই।
চোরেরা দরজা জানালা সব খুলে নিয়ে গেছ
নেমপ্লেটটাও এমনিভাবে পড়ে আছে নামটাও পড়া যায় না!
গুমটি ঘরটাটে কি জানি কাদের বিচরণ!
একদিন মুছে যাবে হারিয়ে যাবে সব
কেউ মনে রাখবে না “গোল বাথান”
জাহাজ এসে ভিড়তো যেখানে অদূর পন্টুনে।
দৃশ্যগুলো ফিরে ফিরে আসে
চেতনার নির্যাস
-তরঙ্গ ছড়ায়
নীল অর্ঘ্য-
কাঞ্চনজঙ্ঘা সমুদ্রতট হয়ে
আকাশটা ছুয়ে যায়-
-বরাভয়।
পোয়িতি মেঘের অশ্রু
নেমে আসে
বয়ে অবিরাম
লীন-
রোদ্রকরোজ্বল করোটির আহ্বানে
পাশ দিয়ে চলে যায়-
চেনা ভূবন।