অরবিন্দ চক্রবর্তী

পরশরীর বনাম অপর শরীর

কারও শরীর উদ্ভিদ, কারওটা খনিজ।
কোন বিহারে যে যাই!

বহু জনন পারাপার শেষে ফুটো জীবন নিয়ে পৃথিবীর মানুষ
একেকটা সোনার ছাগল, তবু এ জাতি খুশবু রঙের খুশি।

তা হোক, এবার বাজি ধরো যেকোনো শরীর নিয়ে। স্মরণে রাখবে,
শরীরকে যতবার শরীর জেনে সালাম করবে, নামতা শেষে গুণন পাবে পুরুষ;
পাশেই, তুমি এক গাহনভিত্তিক কৌতুকঘর।

প্রসাধন ঢালা হবে ধানী মাঠে; কাকাতুয়া খিল্লি করবে। খানিক বুঝবে,
এ এক অর্বাচীনের ঘুঙুর; বেকশুর নাচছে।

বিশদ সবুজকে বলবে, এ দেহ আমার। এমন জেনে রঙের সকল বিশেষণ
তোমাকে পেয়ে আহ্লাদিত যেন;
পরম আকাশ বিছিয়ে খুলে দেবে উদার বিস্তার।

অথচ, কোনো আরোহন ধরে লিখতে পারবে না অপর শরীরের মহিমা;
প্রতিটি চিহ্নে বর্ণন হবে ফোসকার ইতিহাস আর গুমোট রক্তের বিবমিষা।

অরবিন্দ চক্রবর্তী
অরবিন্দ চক্রবর্তীর জন্ম ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার সদরদী গ্রামে ১১ আগস্ট ১৯৮৬। শিক্ষা : স্নাতকোত্তর। একটি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানে সম্পাদনা বিভাগে কর্মরত। তার প্রকাশিত বই : কবিতা— ছায়া কর্মশালা (২০১৩), সারামুখে ব্যান্ডেজ (২০১৬), সম্পাদনা— দ্বিতীয় দশকের কবিতা (২০১৬), অখণ্ড বাংলার দ্বিতীয় দশকের কবিতা (২০১৬), সম্পাদিত পত্রিকা— মাদুলি।
বার পড়া হয়েছে
প্রকাশিত :
সেপ্টেম্বর ২, ২০১৯
শেয়ার :
পয়স্তিতে যারা লিখেছেননির্দেশিকাশর্তাবলী
১০ দিনে জনপ্রিয় লেখক
magnifiercrossmenu