রিষা

আমি পাত্র হিসেবে আমি বিবেচিত হলাম। যদিও এ বিষয়ে আমার কোন জানা শোনা ছিল না। হঠাৎ করেই একদিন রাত্রে বাবা ধরে বসলেন, গ্রাজুয়েশন তো শেষ, এবার বিয়েটা তো করা দরকার।

এ কথা শোনার পর আমার মাথায় যেন বাজ ভেঙে পড়ল। বিয়ে, এখন! অসম্ভব। দু-পাঁচ বছরের মধ্যে ও কথা মুখেও আনছি না।

বাবাও নাছোরবান্দা, বহু উপমা, উদাহরণ পেশ করল আমার সামনে। বুঝতে পারলাম, এ যাত্রায় আমার বুঝি রক্ষা নাই, বিয়ের দড়িটা এবার হয়ত গলায় পরতেই হচ্ছে। শেষ মেষ উপায়ান্ত না দেখে জানতে চাইলাম- মেয়েটা কে?
বাবা অনেকটা স্বাভাবিক স্বরেই উচ্চারণ করল- রিষা।

রিষা! অনেকটা অবাকই হয়েছিলাম। কোথায় থাকে, কোথায় বাসা, কিছুই জানি না, অন্য কোন জন্মে তার সাথে আমার জানাশোনা ছিল বলেও মনে করতে পারি না, তারপরও নামটা শুনেই প্রাণের মাঝে কেমন যেন একটা শিহরণ বয়ে গেল। কত অপরিচিত, অথচ কত প্রেয়সী; কত প্রিয়ংবদী! অনুভব করলাম জগতের সবকিছু যেন স্তম্ভিত হয়ে গেল। দিনের বাতাস, আলো, রাতের শিশির, জোৎস্না সবই হঠাৎ করে সুন্দর লাগতে লাগল। কত শত সহজ সাবলিল ভাষাই যেন অসম্ভব সন্ধান অনুভব হতে শুরু করল। কী যেন এক চিন্তায় বাবার সাথে আর কোন কথা বলার প্রয়োজন বোধ করলাম না। নিশ্চুপে উঠে এলাম। মনের মধ্যে শুধু রিষা নামটিই বার বার পতিধ্বনিত হচ্ছে; মনের মাঝে একটি ছবি অঙ্কিত হচ্ছে- যা চির সুন্দর, চির যৌবনা। একজন সুদর্শনা লিকলিকে কন্যা। পড়নে লাল শাড়ি, বাতাসে উড়ন্ত আঁচল, কপালে লাল টকটকে টিপ, হাত ভর্তি কাচের চুড়ি, খোপায় জবা ফুল। কল্পনায় যেন বাড়ন্ত রজনিগন্ধাকে অতি আদুরে মনের মাধুরি দিয়ে কেউ সাজিয়ে রেখেছে। চোখের পাতায় যেন কোন ক্রমেই ঘুম আসে না। বাইরে পাখির কলকাকলিতে বুঝতে পারলাম ভোর হয়েছে। মনে মনে ভাবলাম- রাতের সময় পার হয়ে গেল, কিন্তু রিষার সময় যেন পারই হতে চায় না। একটি মাত্র শব্দ, একটি মানত্র নাম তবু মনের মধ্যে একটা জায়গা তৈরি করে নিয়েছে, কীভাবে, কেমন করে বলতে পারব না।

বাবা আমার কাছে কোন উত্তর না পেয়ে কয়েকদিন পর আবার জানতে চাইলেন, তোমার মতামত কিন্তু জানতে পারলাম না। বিয়েতো তোমাকে কোন না কোন সময় করতেই হবে, সেটা যদি এখন হয় তাহলে আপত্তিটা কোথায়! তোমার মতামতটা জানতে পারলে মেয়ে পক্ষের সাথে সরাসরি কথা বলতাম। আমি নিজের মনের উপর জোর খাটিয়ে বললাম, বাবা, আর কয়েকটা বছর যাক না, তারপরই না হয় এসব বিষয় নিয়ে ভাবা যাবে। সবে তো মাত্র পড়াশোনা শেষ করলাম। একটু নিজেকে গুছিয়ে নিই।

বাবা উৎকণ্ঠে বললেন, না, তা আর হচ্ছে না। জীবনে কে, কবে, কখন গুছিয়ে নিতে পেড়েছে বলো! তাছাড়া বিয়ে করলে যে তুমি জীবনটা তোমার মতো করে গুছিয়ে নিতে পারবে না সেটা তো নয়। বরং মেয়েটা অনেক ভালো, আমার বেশ পছন্দ হয়েছে, তোমার মায়েরও। এই মেয়েকে বিয়ে করলে তোমার জীবনটা গোছানোর জন্য আর একনকে পাবে। যদি তুমি মনে করে মেয়েটিকে দেখবে, তবে দেখতে পার। আমার বিশ্বাস তোমারও পছন্দ হবে। তারপরও যদি না পছন্দ হয় তবে বলো অন্য কোন মেয়ে দেখব, কিন্তু বিয়েতে তুমি অমত দিও না। পরিবারের জন্য বিয়েটা খুবই প্রয়োজনীয়।

পরিবারের কীসের জন্য বিয়েটা এতটা জরুরি বুঝতে পারলাম না। সারাদিন মাথার মধ্যে এই বিষয়ই ঘুরপাক খেতে লাগল। পরিবার বলতে বাবা, মা, আর আমরা তিন ভাই। কোন বোন না থাকায় অনেক সময় মা সংসারের অনেক কাজ একা সামাল দিকে পারেন না। মায়েরও বয়স হচ্ছে। মাঝে মাঝে অসুস্থ্য থাকেন। পরিবারের টুকিকাকি কাজে মাকে সাহায্য করার জন্য একজনকে দরকার এ কথার অস্বীকার করতে পারব না। বাবা হয়ত এটাই আমাকে বোঝাতে চেয়েছেন।

দ্বিধা আর নতুনত্ব্যের প্রত্যাশা দুই’ই মনের মধ্যে চক্রাকারে ঘুরপাক খেতে লাগল। কোনো সিদ্ধান্তেই উপনিত হতে পারলাম না। যদি বিয়েতে অমত করি তাহলে বাবা অনেক কষ্ট পাবেন, আর যদি বিয়েতে মত প্রকাশ করি তাহলে নিজের অগোছালো জীবনটা গোছালো হয়ে যাবে, সব কিছু নিয়মতান্ত্রিকভাবে পরিচালনা করতে হবে। সময় মতো বাড়ি ফেরা, সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠা, রাত জেগে বই না পড়ার মতো কঠিন কঠিন কাজের ভারাপন পড়বে আমার উপর, এটা নিশ্চিত। আর এটা আমার জন্য অনেকটা কষ্টের। কেননা, আমি গোছালো জীবনের বাইরেই অধিকাংশ সময় ব্যায় করেছি। তারপরও অনেক কষ্টে শিষ্টে স্বীদ্ধান্ত নিলাম, বিয়েতে মত দিব। তাহলে আমার পরিবারের সদস্যরা অনেক খুশি হবে।

বাবাকে বললাম, আমি রাজি আছি তবে আমি মেয়ে দেখতে চাই। বাবার ঠোঁটে হাসির রেখা অঙ্কুড়িত হলো। সাথে বাড়ির সকলেই আনন্দে আন্দোলিত। যেন এরা আমার এই কথাটার জন্য তাদের সারা জীবনের আনন্দ অতি অনাদরে পুষে রেখেছিল। আজ আমার স্বীদ্ধান্তের প্রতিফলনের স্বরূপে তা মাথা চাড়া দিয়ে জেগে উঠেছে। বাবা বললেন, ঠিক আছে আমি সে ব্যবস্থা করছি।

এভাবে আরও কয়েক দিন অতিবাহিত হলো। যত সময় এগিয়ে যায় তত রিষাকে দেখার আগ্রহটা আমার মধ্যে মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। যেন তার চন্দ্রালোয় আলোকিত মুখাবয়ব দেখার স্বাধ আমার মিটবে না। অধির আগ্রহ থাকলে মনের মধ্যে একটা শিহরণ অনুভূত হয়, যে শিহরণ কাউকে বলা যায় না, দেখানো যায় না। শুধু তার মৃদু আন্দোলন আমার স্বত্বাকে নাড়া দেয়।

এমনই এক সন্ধ্যায় পুকুর পাড়ে বসে আছি। বাবা এসে পাশে বসলেন। জানালেন আগামিকাল আমরা রিষাকে দেখতে যাচ্ছি। আমার দু-এক জন বন্ধুকে সাথে নিতে হবে আর আমার ফুপাতো এবং খালাতো দুই বোনজামাতা আমার সাথে যাবে। যদি মেয়ে দেখে পছন্দ হয় তাহলে তারাই বিয়ের দিন ধার্য করবেন। মনের মধ্যে পুরবী বাতাস বয়ে গেল। সারাজীবন পুষে রাখা সাধনা সামান্য কয়েকদিনে চুর্ণ-বিচুর্ণ হয়ে হয়ে গেছে। অল্প দিনে যে স্বপ্ন দেখেছি তা সারা জীবনের জন্য পূরণ হতে চলেছে। আমি বাবার কথায় সম্মত দিয়ে বললাম, ঠিক আছে, তুমি সব ব্যবস্থা কর। আমরা কালই মেয়ে দেখতে যাচ্ছি। প্রকৃতপক্ষে রিষাকে দেখবার অধির যে আগ্রহটা আমার মধ্যে প্রবল আবেগ তৈরি করেছিল সেটা সংযত করতে না পারার কারণেই একথাগুলো বলেছিলাম।

নিস্তব্ধ রাত। আকাশের তারাগুলো মিটমিট করে জ্বলছে। ভাবতে অনেকটা সুখানুভব উপলব্ধি করতে পারলাম, প্রাণের পরতে হিমাঙ্গী বাতাস মৃত্যু ছোঁয়া বুলিয়ে গেলো। সমস্ত শরীরে তার আভাসে বিঘোর সে রাত আর কাটে না। যেন রাতের প্রতিটিক্ষণ আমাকে আবছা আলোর ধোঁয়াশা কালিমায় গ্রাস করে চলেছে। মনের মধ্যে শুধু একটাই চিন্তা বার বার মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে- কাল রিষাকে দেখতে যাব, সে কি আমার কল্পনাপূরির রাজকন্যার মতোই হবে নাকি কঙ্কালপুরির পেত্মার! সে কি আমাকে মেনে নিতে পারবে, নাকি আমার প্রতি তার প্রচণ্ড অভিমান…

রিষা কোনো রমনি নয়, কোনো বালিকাও নয়। বয়সটা এমন একটা পর্যায়ে গিয়ে দাড়িয়েছে তাতে কোন উপমাই তার শোভা বৃদ্ধি করতে পারে না। রমনি বললে বৃদ্ধের খাতায় আর বালিকা বললে আদর করে বুড়ির খাতায় তার নুাম অঙ্কুড়ির হয়। তাই বুঝতে পারলাম এই অষ্টাদশি সুদর্শনা কন্যাকে নিয়ে তার পিতা ঘোরতর চিন্তায় রয়েছেন, মেয়ের বিয়ে দিতে হবে। রিষা বি.এ. করছে, বিধায় তার পিতা এমন একটা ছেলেকে খুঁজছিলেন যে কিনা তার কন্যার জন্য উপযুক্ত হবে।

রিষা, খুব একটা লিকলিকে নয়, আমার বৃহদায়তনও নয়। মাঝারি গোছের যুবতি বলতে মানুষের হৃদয়ে যে রূপ রেখার অবয়ব ভেসে উঠে, রিষা তাই। অনুমান করলাম লম্বায় আমার কপাল অব্দি হবে হয়ত বা, নয়ত বা নাক অব্দি। চিকন পেনসিলে আঁকা ভ্রুজুগল যেন বাঁকা চাদের বক্ররেখা। হরিণী নয়, তবে মহোনীয় চোখ, প্রতিমার ন্যায় লম্বা নাক, রসুনের খোসার মতো দুটি ঠোট। খুব শান্ত এবং নিরীহ স্বভাবে গৃহপালিত প্রাণিগুলো যেমন হয়, আমার কাছে রিষাকেও তাই মনে হলো। বুঝতে পারলাম তার পিতা তাকে ভদ্রতার কমতি শেখায়নি। উঠার সময় নত শিরে তাই সালাম বিনিময়েও তার লজ্জাতুর চোখ দুটো বিড়ালের মতো জ্বলে উঠল।

বিয়ের দিন তারিখ পাকা পোক্ত করেই বোনজামাতারা বাড়ি ফিরল। আমিও ফিরে এসেছি কিন্তু রিষাকে রেখে এসে যেন মস্ত একটা অন্যায় করেছি বলে মনে হতে লাগল। বার বার তাদের বাড়ি ফিরে যেতে ইচ্ছা করে। মনে হতে লাগল আমি হয়ত এই কন্যাকে হারিয়ে ফেলব। কিন্তু আমি সেটা চাই না, কোন কিছুর বিনিময়েও না। যে করেই হোক এই করুণাময়ীকে আমার জীবন থেকে হারাতে চাই না। সকাল গড়িয়ে যেন দুপুর আসতে চায় না, যদিও দুপুরে আসে আর সন্ধ্যা আসে না। আর বিয়ের দিন, সে তো অনেক দূরের কথা। আমার উদাসি অবস্থা দেখে পাড়াতো ভাবিরা মসকরা করতে কম করছে না, তাদের কথায় মাঝে মাঝে লজ্জায় মুখ লাল হয়ে ওঠছে, আবার মাঝে মাঝে কানেই তুলছি না।

আঠারো বছর বয়সে গ্রাম্য মেয়েরা নিজেদেরকে অনেকটা সামাল দিতে শিখে, আর তখনই তাদেরকে বিয়ের জন্য উপর্যুক্ত ধরা হয়। রিষার ক্ষেত্রেও সেটি প্রযোজ্য।

শেষ মেষ বিয়েটা হয়েই গেল। আর আমি সেই অতি আকাক্সিক্ষত চাঁদ হাতে পেলাম। জগতের সমস্ত কিছু ভুলে এই চন্দ্রাবতীর মোহ যেন আমাকে দিনে দিনে ডুবিয়ে নিয়ে যেতে লাগল। সারাদিন ঘরের কনে নববধুর সাথে আড্ডায় বিভোর হয়ে ওঠলাম। জগতে যে আমার আরও কিছু দায়িত্ব আছে সেটা নিয়ে কোন মাথা ব্যথাও অনুভব করতে পারতাম না। এ নিয়ে পাড়া মাঝে মাঝে মায়ের সাথেও দু-একটা কথা হয়ে যেত। মা তার নব পুত্রবধুকে ধমকের সুরে কাজে কর্মে হাত দিতে বললে সে কথা যেন আমারই হৃদয়কে দুপড়ে মুছড়ে দিত। তাই তার নববধু তাতে আপত্তি না করলেও আমি বাঁধা হয়ে দাড়াতাম। কিন্তু রিষা তা শুনত না, বরং মায়ের পক্ষই সে গ্রহণ করত। আর সে সময় আমার দুমড়ানো মুছড়ানো হৃদয়টা যেন আর একবার লঙ্কাগুড়োয় লুটিয়ে পড়ত।

সামনে মাস্টার্স ফাইনাল পরীক্ষা। নববধুর সান্নিদ্ধে এসে আমার সে খেয়ালও রসাতলে গেছে। হঠাৎ করে পরীক্ষার সূচি প্রকাশিত হওয়ায় ঘাবড়ে গেছি। এতোগুলো পড়া কীভাবে শেষ করব। তাই একদিন রাতে রিষাকে ডেকে বললাম, আমার কিছুদিন বাদে পরীক্ষা, একটু হেল্প করতে হবে যে তোমার। রিষা বিষ্ময়ের চোখে জানতে চাইল, তোমার পরীক্ষা তো আমার কী সাহায্যের দরকার আছে তা তো বুঝলাম না! আমি মাথা নিচু করে বললাম, কিছুদিন তুমি আমার থেকে দূরে থাক। তা না হলে আমার পড়া শোনায় মন বসবে না। তুমি যদি কাছে থাক তো তোমার থেকে এই বইগুলো কোন মতেই আমার নিকট অধিক প্রিয়তম হতে পারবে না। আর তা না হলে কপালে যে শনি আছে তা আমিও যেমন অনুভব করতে পারছি, ঠিক তুমিও হয়ত। রিষা একটু মুচকি হেসে বলল, তবে আমাকে বাবার বাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা কর, তোমার পরীক্ষা শেষ হলে আমার নিয়ে এসো। আমার মন উপলব্ধি করতে পারল, এটাই মনে হয় সব থেকে ভালো প্রস্তাব।

দু-একদিন পরে বাবা-মার সাথে আলোচনা করে রিষাকে আমার শ্বশুরবাড়ি রেখে আসলাম। কিন্তু কিছুতেই পড়াশোনায় মন বসাতে পারলাম না। যতই চেষ্টা করি না কেন মন আমার যেন রিষার কাছেই পড়ে থাকে। তবু প্রচ- চেষ্টা করে পড়াশোনায় মন বসানোর চেষ্টা করতে করতে একদিন পরীক্ষার দিন চলে আসলো।

পরীক্ষার রেজাল্ট পাবলিশ হলে দেখলাম যে আমার এত কষ্ট, এত সাধনা বিফলে যায়নি। পরীক্ষার টেনশন আর পড়াশোনার প্রচ- চাপে রিষার কোন খোঁজখবর নিতে পারিনি। তাই রেজাল্ট পেয়ে সরাসরি রিষাদের বাড়িতে গিয়ে উপস্থিত হলাম।

রিষা অসুস্থ। ভাদ্রের শেষের এক বৃষ্টিতে ভিজে তার প্রচ- জ্বর। ডাক্তারের সাথে কথা বলে জানতে পারলাম বৃষ্টিতে ভেজাটা মুখ্য বিষয় নয়, বরং তার অন্য একটি বড় রোগ আছে। বৃষ্টিতে ভেজার কারণে সেটা মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে, কয়েকদিন নিয়োমিত ঔষধ খেলে ঠিক হয়ে যাবে। রোগটার নাম ডাক্তারের কাছে অনেকবার জানতে চাইলেও ডাক্তার বলেনি। পড়ে আমার বন্ধু আবির, নতুন ডাক্তারি পড়া শেষ করেছে। তার কাছে রিপোর্টটা নিয়ে দেখানোর পর আমাকে জানিয়ে ছিল রিষার শরীরে এইডসের ভাইরাস আছে। আমি সেখানেই মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়লাম আর রিষা আমার থেকে সামান্য দূরে মুখে আঁচলগুজে চোখে শ্রাবণের আন্দোলন তুলল।

– আতিকুর রহমান ফরায়েজী

চলতি সংখ্যা