ঘুম: ৫

ঘুমের গাছে পাতা গজালে ভোরের চোখে হেসেলের ব্যস্ততা। পাখিরাও ঘর ছাড়ে, হাসের পাখনার মতো ডানা মেলে দিন।

ঘুমের গাছে পাতা গজালে ভোরের চোখে হেসেলের ব্যস্ততা। পাখিরাও ঘর ছাড়ে, হাসের পাখনার মতো ডানা মেলে দিন।

আমাদের চোখে ছিলো জোড়াতালির রাত, ভাঙা বিকেলের গল্প আর ক্ষণজন্মা সন্ধ্যায় বিদায়ের আক্ষেপ!

সেই কবে কোন শৈশবে ঘুমপাড়ানি গল্পে মায়ের কাছে শুনেছিলাম দুয়োরানির গল্প, সুয়োরানির কথা মনে রাখে না কেউ। আজ তবে কেন মনে পড়লো! কেন রাজাকেই মনে হলো ভীষণ দুখী!

রাজার গল্পের মতো না পেরোনো রাতের দৈর্ঘ্য মেপে মেপে একদিন এসে দাঁড়ালাম হঠাৎ; একটা সাঁকো পেরোলেই ছোঁয়া যায় তিলবতীর চিবুক। সাঁকোটা এগিয়ে এলো যেন! অথচ পা বাড়াতেই সাঁকো উঠে গেলো শূন্যে! অতোটা শূন্য লাগেনি কোনোদিন আর।

ঘুমের পাখা থেকে খসে পড়া পালক ছুঁয়ে দেয় স্বপ্ন! সমাধিফলকের নৈঃশব্দ্যময় স্বপ্ন দেখে ফেলার ভয়ে ঘুমাতে যাই না বহুকাল। সাঁকোটা দোলে না, নদীও বহমান; তবু আমরা পারাপারের অপেক্ষায় পার করে দিই সমস্ত ঘুম।

– আহমেদ শিপলু

চলতি সংখ্যা