ইচ্ছের বিরুদ্ধেই যক্ষের ধনের মতো আগলে রাখি-
বুকের গভীরে বাসা বেঁধে থাকা যত ব্যথাকাঁটা।
ফাল্গুন-শ্রাবণ বলে কোন কথা নেই
রাত অথবা দিনের বাঁধা নেই
মরা কটাল আর ভরা কটালের প্রভাব নেই
যখন তখন বুকের ভেতর নড়ে চড়ে ওঠে;
মনে পড়ে যায় গত জীবনের কত কথা।
এক ফাল্গুনের প্রথম প্রভাতে নব মঞ্জরিতে
বিকশিত নন্দনের প্রিয় পারিজাত কলি;
ভরে দিলো বুক সৌরভ গৌরবে অনাবিল সুখে।
হৃদয়ের তানপুরা সাধে সুর তার গীত গানে
মহুল বনের তল গেল ভেসে অপার প্রণয় বানে,
হাতে রেখে হাত অভিসার শতবার পথে পথে দেখা;
এখনও অমলিন জেগে আছে সেই পথ রেখা।
নুপুর পায়ে ঝুমুর তালে এলো শ্রাবণের ঘনঘটা,
বৃষ্টির পরশে প্রকৃতি পেল ফিরে নব জীবন,
নব মঞ্জরিতে বিকশিত হলো বৃক্ষ-তরু-লতা।
তারপর, এলো বেদনার অঝর সেই শ্রাবণ সন্ধ্যা,
রজনীগন্ধা হাতে কাকভেজা ভিজে গিয়েছিলাম প্রিয় আঙিনায়,
আবেগের ভুলে ভুল বোঝাবুঝি, ঘটলো ছন্দপতন;
বুকে বিঁধে গেল ব্যথাকাঁটা হায়, সেই শ্রাবণ সন্ধ্যায়।