মফিজ আলীর তিক্ত অভিজ্ঞতা

ঢাকা শহর ভাল্লাগেনা
কোনো কাজে তাললাগেনা
মফিজ আলী টেনশনে
স্বপ্নগুলো হয় না দেখা
কী করবে সে একা একা
আগুন ধরায় বেনসনে।

এই শহরে সবাই বিজি
কোনোকিছুই নয়তো ইজি
ছুটছে সবাই জবপিছু
এসবভেবে চক্ষুবুজে
পায় না মফিজ কিছুই খুঁজে
গুলিয়ে যায় সবকিছু।

ডানে তাকায় বামে তাকায়
তাকায় মফিজ গাড়ির চাকায়
হাপিত্তেশে দিনচলে
আকাশপানে তাকায় হাঁকায়
কী আছে ওই অচিন ঢাকায়
প্রশ্নরাখে এইবলে।

দিনের পথে দিনচলে যায়
মফিজ নিজে এইবলে যায়
কাজের কাজতো হলোই না
হাজার টাকা খরচ করে
আসছি ঢাকা বাসে চড়ে
তোমরা কিছু বলোই না।

কারো কাছেই পায়নি জবাব
এমন কেন মানব স্বভাব
ভাবনাতে মন হারায় তার
গাঁয়ের ছেলে মফিজ আলী
মনের ভেতর জমলো কালি
কী করবে সে এখন আর।

তাই তো ভাবে পার্কে যাবে
চিড়া মুড়ি বাদাম খাবে
সতেজ হবে মাথাটা
নিরিবিলি পার্কে বসে
ধন্য হবে অঙ্ক কষে
তারই জীবন পাতাটা।

বিষাক্ত গ্যাস কালো ধোঁয়া
বলছি যেসব নয়তো ভুয়া
শোনেন সবাই মনদিয়ে
বিষমেশানো ঢাকার বায়ু
কমায় সবার দেহআয়ু
কাজ হবে না ধনদিয়ে।

মাথাটা তার ঘুরতে থাকে
পার্কচেয়ারে কাঁধটা রাখে
ঘুমের দেশে যায় চলে
দুইটি চোরে ফন্দি করে
করবে চুরি একটু পরে
ফিসফিসিয়ে যায় বলে।

দুআঙ্গুলে মেরেই তুড়ি
সবকিছু চোর করল চুরি
টের পেল না কিচ্ছুসে
তন্দ্রাশেষে দেখতে পেলো
সবকিছু তার এলোমেলো
করল ক্ষতি বিচ্ছুযে।

পকেট ফাঁকা বিধি বাঁকা
অন্তরে তার বিষযে মাখা
এখন মফিজ করবে কী
ঢাকার সাথে দিয়ে আড়ি
মনের দুখে ফিরল বাড়ি
মুখেচোখে ছিছিছি!

ঢাকায় এতো খারাপ মানুষ
না গেলে তার হতো না হুঁশ
কষ্টে হৃদয় বান্ধে
কেউ যেয়ো না ওই ঢাকাতে
পিষ্ট হবে বাসচাকাতে
এই বলে সে কান্দে…

– শেখ একেএম জাকারিয়া

চলতি সংখ্যা