‘দায়’

বিয়ের আগে কি আপনার স্ত্রীর সাথে পরিচয় ছিল?

না স্যার,মায়ের পছন্দে বিয়ে করেছি।

আপনার কোন পছন্দ ছিল না?

জ্বী মানে স্যার,মা প্রথমে পছন্দ করে আমাকে পাঠিয়েছিলেন। আমি পছন্দ করে সম্মতি দেই,তারপর বিয়ে হয়।

তার আগে কি কোন মেয়ের সাথে আপনার সম্পর্ক ছিল?

না স্যার,এমন কিছু ছিল না।

কোন মেয়ের সাথে প্রেম-টেম করেননি?

না স্যার, কখনো না।

আপনিতো মাদকাসক্ত ছিলেন এবং কয়েক মাস নিরাময় কেন্দ্রেও ছিলেন।

জি¦ স্যার।

এমনটা কখন থেকে?

আসলে স্যার বাবার সাথে মায়ের ডিভোর্সের পর মা আমাকে তার সাথে নিয়ে আসেন। পরে মায়ের অন্যত্র বিয়ে হয়ে যায়। লেখাপড়া তেমন করতে পারিনি। একসময় খারাপ ছেলেদের পাল্লায় পড়ে নেশার সাথে জড়িয়ে যাই। পরে আমার উশৃঙ্খলপনা দেখে মা ভেবেছিলেন হয়তো বিয়ে দিলে ঠিক হয়ে যাব, তাই বিয়ে দেন।

বিয়ের পর কি ঠিক হয়েছিলেন?

না স্যার,আমার স্ত্রীর প্রচেষ্টায় নিরাময় কেন্দ্রে যাই এবং সেখানে চিকিৎসা নিয়ে স্বাভাবিক হই।

আপনিতো মাদকসহ গ্রেফতার হয়েছিলেন এবং জেলও খেটেছিলেন।

তা স্যার অনেক পর। তখন আমার বড় মেয়ের বয়স ৪ বছর ছিল। গাড়ি চালাতাম। একসময় মাদকচক্রের সাথে জড়িয়ে যাই। টাকার লোভে আমার গাড়িতে করে মাদক বহন করতাম। একদিন র‌্যাবের হাতে ধরা পড়ি।

আপনি জেলে কতোদিন ছিলেন?

প্রায় তিন মাস। পরে জামিনে ছাড়া পাই।

আপনাকে জেল থেকে কে ছাড়িয়েছিল?

আমার স্ত্রী।

আপনার স্ত্রী আপনাকে খুব ভালবাসে,তাই না?

ভালবাসে না সেটা বলবো না।

স্ত্রীর সাথেতো আপনার প্রায় ঝগড়া হয় এবং তাকে মারধরও করেন।

জ্বী মানে স্যার মাঝে মধ্যে একটু আধটু হয়।

কেন,আপনার স্ত্রী কি খুব খারাপ?

তেমনটা বলবো না স্যার। খারাপি কিছু নজরে পড়েনি। মাঝে মধ্যে মাথা গরম হয়ে যায়। মাথাটা সেও গরম করে। কী করবো-সারাদিনে বাসায় গেলাম। গিয়ে একটুও শান্তি পাই না। এটা না সেটা তুচ্ছ বিষয় নিয়ে বকবক শুরু করে। কিছু একটা নিয়ে শুরু করলে আর থামে না। এতো পরিশ্রম করেও কোন কূল পাই না। সে মনে করে আমি একটা অপদার্থ, নিষ্কর্মা। সংসারে আমার কোন অবদান নেই। যেমন মনে করেন স্যার, হাতে টাকা নেই। সব সময়তো আর হাতে টাকা পয়সা থাকে না। কোন একটা জিনিস নিতে পারলাম না-তখন আর তাকে কে রুখে? পেছনের সবকিছু অস্বীকার করবে। যেন আমি তাকে জীবনেও কিছু দেইনি। শুধু তাই না স্যার, রাগ উঠলে আমাকে তুই তুকারি করে কথা বলে,আমার মোটেও সহ্য হয় না।

আপনার সংসার কেমনে চলে মানে আয়ের উৎস কী?

আয় বলতে স্যার ছোটখাটো একটা ব্যবসা আছে। আগে গাড়ি ছিল। র‌্যাবে ধরার পর আর উদ্ধার করতে পারিনি। এখন এই ব্যবসা নিয়ে কোন মতে আছি।

বর্তমান আয়ে কি আপনার সংসার চলে?

বর্তমান আয়ে না স্যার আমার সংসার হচ্ছে হাবিয়া দুযখ;এখানে সারা দুনিয়া ঢেলে দিলেও ভরবে না। কি বলবো স্যার,আমার স্ত্রীর বিলাসিতা দেখলে আপনি অবাক হবেন। টাকা পয়সার টানপড়ন,ঋণধার এসব কারনে আরও মাথা ঠিক থাকে না।

আপনি কি আর কোন বিয়ে করেছেন?

মিথ্যা কথা স্যার।

পরকীয়া সম্পর্ক?

সম্পূর্ণ মিথ্যা স্যার। আমার স্ত্রীর বানানো কথা। সে এটা রটিয়েছে। সেদিন সালিসে সবার সামনে বলেছি-যদি বিয়ে করে থাকি বা কারো সাথে আমার সম্পর্ক থাকে তাহলে প্রমাণ দিক। সে কোন প্রমাণ দিতে পারেনি। ও স্যার আমাকে অযথাই সন্দেহ করে।

আপনার সন্তানদের প্রতি আপনার ভালবাসা কেমন?

তা স্যার বুঝাতে পারবো না এবং দেখাতেও পারবো না। তাদের জন্যইতো আমার সব শ্রম। অনেকবার ভেবেছি স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়ে দেই। কিন্তু ওদের কথা ভেবে পারিনি।

এমন কি হতো যে আপনার স্ত্রীর সাথে ঝগড়ার করছেন, ঝগড়ার মূহুর্তে মেয়ের গায়ে কি হাত তোলতেন?

না স্যার কখনো হাত তোলেছি বলে মনে হয়নি। তবে রাগের মাথায় কখনো ধমক টমক দিতাম। কি বলবো স্যার আমার কাছে কখনো পুরো পৃথিবী অসহ্য লাগে।

মেয়ের সাথে আপনার সম্পর্কটা কেমন ছিল,যেমন ধরেন সে কি আপনার সাথে আন্তরিকতার সাথে,মন খোলে কথা বলতে পারতো?

ও স্যার তেমন কথা বলতো না। আমি বাসায় গেলে দূরে দূরে থাকতো। লজ্জায় না ভয়ে ঠিক বুঝতাম না। খুব গম্ভীর স্বভাবের ছিল।

ওর কোন প্রয়োজনের কথা যেমন-বই-খাতা,জামা-কাপড় এসবের কথা আপনাকে বলতো না?

না স্যার,ওর মায়ের কাছে বলতো।

গত মাসের শুরুর দিকে একবার আপনার স্ত্রী ঝগড়া করে বাপের বাড়ি চলে যায়, তা কি সত্য?

জি¦ স্যার?

এমনটা আগেও হয়েছিল।

জি¦ স্যার।

গত মাসে যখন আপনার স্ত্রী তার বাপের বাড়ি চলে যায় তখন বাসায় কে ছিল?

আমার মেয়ে।

সে কি একা ছিল।

জি¦, স্যার।

আপনার বাসাতো খুব একা, এর আগে কখনো আপনার মেয়ে বাসায় একা থেকেছে?

না স্যার।

আপনাকে তখন রান্না-বান্না করিয়ে কে খাওয়াইছে?

আমার মেয়ে।

এর আগে কি কখনো সে রান্না-বান্না এসব করেছে?

এর আগে কখনো নিজ হাতে প্লেটটা ধুয়েছে বলেও মনে হয় না।

রান্না ঘরে ও নিজ থেকে গিয়েছিল না আপনি বাধ্য করেছিলেন?

আসলে স্যার তখন মেজাজ ভাল ছিল না। বেরিয়ে যেতাম,ফিরতে রাত বারোটা একটা বেজে যেত। ওর সাথে তেমন কথা হতো না। ঘরে এসে সবকিছু ঠিকঠাক পেতাম।

আপনি বাসায় ফিরতেন রাত বারোটায় একটায়! তার আগ পর্যন্ত আপনার মেয়ে কি বাসায় একা থাকতো?

জ্বী মানে স্যার…

এর আগে কখনো এমনটি হয়েছিল?

নিরব…।

আচ্ছা, আপনি এখন আসতে পারেন। প্রয়োজনে আপনার সাথে আবারো কথা হবে।

দুই.

মিসেস সুলতানা,আপনার মেয়েতো খুব মেধাবি ছিল।

জ্বী স্যার…

আহ! কাঁদবেন না প্লিজ। স্বাভাবিক হয়ে কথা বলুন।

লেখা পড়ায় সব সময় ভাল ছিল। পিএস সি,জে এস সি পরিক্ষায় গোল্ডেন পেয়েছে। ক্লাসে ফার্স্ট ছিল…

আপনি কাঁদবেন না প্লিজ। একটু স্বাভাবিক হয়ে কথা বলার চেষ্টা করুন। আচ্ছা সে প্রসঙ্গে পরে আসছি। আপনার কোলের বাচ্ছাটির বয়স কতো?

দেড় বছর হয়েছে।

নাম কী রেখেছেন?

রাফি।

শুধু রাফি?

না স্যার,আহমদ শরিফ রাফি।

বাহ! খুব সুন্দর নামতো,কে রেখেছে?

ওর বাবা।

বাবা খুব ভালবাসেন তাই না?

ওদের সাথে কোন সমস্যা নেই।

সমস্যাটা কি শুধু আপনার সাথে?

কী বলবো স্যার,উনার আচরনতো এই ভাল এই খারাপ। আমাকে একদম সহ্য করতে পারেন না। সব সময় সন্দেহ করেন। ঘরে এসেই ছুঁতো খুঁজেন।

সমস্যাটা কোন জায়গায় বলে মনে করেন?

সমস্যাটা ঠিক কোন জায়গায় বুঝতে পারছি না। উনি সংসার সম্পর্কে খুব উদাসিন। রাত বারোটা-একটা করে ঘরে ফেরেন। সন্তানদের লেখা পড়া,অসুখ বিসুখ সব আমাকে দেখতে হয়। সংসারে কখন কি প্রয়োজন সেদিকে মোটেও খেয়াল রাখেন না। এসব নিয়েই কথা বললেই ঝগড়া শুরু করেন। কখনো আমাকে অযথা মারধর করেন। কি বলবো স্যার, যেমন ধরেন ঘরে এসে দেখলেন পেছনের রুমের জানালাটা খোলা। এই অজুহাতে ঝগড়া শুরু করে দিবেন। আমি নাকি পিছের বাসার কার সাথে কথা বলি। আরো অনেক কিছু স্যার। তুচ্ছ কারণে ঝগড়া-ঝাটি মারধর করেন।

আপনার সাথে তার এসব সমস্যা কি প্রথম থেকেই চলে আসছে?

সমস্যাতো স্যার প্রথম থেকেই ছিল। মাদকাসক্ত ছিলেন। অনেক কষ্ট করে ঠিক করেছি। অনেকদিন খুব ভালো হয়ে চলেছেন। তারপর বিভিন্নভাবে সমস্যা দেখা দেয়। সংসারে উদাসীন। টুকটাক বিষয় নিয়ে ঝগড়া। কখনো কম কখনো বেশি। তবে এই কয়েক মাস থেকে একটু বেশি।

আপনার স্বামী কি আর কোন বিয়ে করেছেন?

সঠিক জানিনা। তবে তার আচার আচারণে আমার এমনটিই সন্দেহ হয়। তার ইচ্ছা আমি যেন চলে যাই। বিশ্বাস করেন স্যার,এই মানুষটার সাথে সংসার করার মোটেও ইচ্ছা নেই। কয়েকবার ভেবেছি ডিভোর্স দিয়ে চলে যাবো। কিন্তু এই বাচ্চাদের দিকে চেয়ে,তাদের ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে পারিনি।

মেয়ের সামনেও কি আপনাদের কলহ হতো?

কী বলবো স্যার,উনার বিবেক বোধ কিছুই নেই। এদের সামনেই আমাকে মারধর করেন। এমনও হয় মারার সময় কোলের বাচ্ছাটাকে কেড়ে নিয়ে ফ্লোরে রেখে আমাকে মারধর করেন। কান্না শুনে মেয়ে এসে কোলে নিয়ে বাইরে বের হয়ে যেতো।

স্যাড, ভেরি স্যাড! আচ্ছা, যেদিন ঘটনা ঘটেছিলো সে দিন কি আপনি বাসায় ছিলেন?

না স্যার,এর দুদিন আগে তার বাবার সাথে ঝগড়া হয়। আমাকে প্রচন্ড মারধর করেন। আমি কোলের এই বাচ্চাটিকে নিয়ে আমার বাপের বাড়ি চলে যাই।

ঘটনার দিন আপনি বাসায়ই ছিলেন না!

…কাঁদছেন কেন? কাঁদবেন না প্লীজ।

আপনি শান্ত হোন…

তিন.

সুলতানা এবং তার স্বামী মিলন সাহেব টেবিলের সামনে পাশাপাশি চেয়ারে মাথা নিচু করে বসে আছেন। শিশু সন্তানটি মায়ের কোলে ঘুমুচ্ছে।

মিষ্টার মিলন এবং মিসেস সুলতানা, আমি যা বলছি মনোযোগ দিয়ে শুনুন। আমি ব্যক্তিগতভাবে আপনাদের দুজনকে ভিন্নভাবে জিজ্ঞাসাবাদ ছাড়াও আপনাদের প্রতিবেশী এবং আপনাদের মেয়ের বন্ধু-বান্ধব ও তার স্কুলের শিক্ষকদের সাথেও কথা বলেছি, ব্যাপক অনুসন্ধান করেছি। আপনারা যা অনুমান বা সন্দেহ করছেন তা মোটেও ঠিক নয়। মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে তা সত্যি। আর এই আত্মহত্যার জন্য আর কেউ দায়ি নয়। একমাত্র দায়ি হলেন আপনারা। মেয়েটির মধ্যে অনেক সম্ভাবনা লুকিয়ে ছিল। ছিল অনেক স্বপ্ন। সুযোগ পেলে ডানা মেলে উড়তো। পরিচর্যা পেয়ে বড় হলে বড় কিছু একটা হতো। কিন্তু দুঃখজনক, আপনারা সবকিছুকে হত্যা করেছেন!

একটি শিশু সুস্থ সুন্দরভাবে বেড়ে ওঠার জন্য প্রথম শর্ত হচ্ছে একটি সুস্থ সুন্দর পরিবার। পিতা মাতার পারস্পরিক সদ্ভাব এবং মার্জিত আচরণ। যা সে আপনাদের কাছ থেকে পায়নি। এসব থেকে সে বঞ্চিত হয়ে মানসিকভাবে ছিল হতাশাগ্রস্থ। আপনাদের দৈনন্দিন কলহ কেড়ে নিয়েছিল তার শৈশবের আনন্দ হাসি। সে ছোট হতে হয়েছে তার বন্ধু বান্ধবদের কাছে। আশপাশের মানুষজনদের কাছে। মানসিকভাবে ক্ষুন্ন হয়ে তার পৃথিবী হয়ে গিয়েছিল সংকীর্ণ,যেখান থেকে সে মুক্তি চেয়েছিল। মেয়েটা যখন অবুঝ ছিল,আপনার হাত যখন আপনার স্ত্রীর গায়ে উঠতো,সে চিৎকার করে কাঁদতো। যখন একটু বড় হলো,পৃথিবীকে বুঝতে শুরু করলো তখন আপনাদের ঝগড়াঝাটি দেখে সে আর চিৎকার করে কাঁদতো না। খুব নিরবে চোখের জল ফেলতো আর ভাবতো। তার অসহায় ভাবনাটাই শেষ পর্যন্ত তাকে আত্মহত্যার দিকে নিয়ে যায়।

দুজনকেই বলছি, মন দিয়ে শুনেন। সংসারে মান অভিমান থাকতে পারে। কিন্তু তা যদি হয় ঝগড়াঝাটি মারামারির পর্যায়ে তা খুব জঘন্য এবং ঘৃণিত। স্বামী স্ত্রী পরস্পর পরস্পরকে বুঝতে হবে। এবং পরস্পরের মধ্যে থাকতে হবে শ্রদ্ধাবোধও। থাকতে হবে ধর্য্য, সহনশীলতা এবং সাধ্যের মধ্যে তুষ্টি। সুখ দুঃখ মিলিয়েই তো মানুষের জীবন। সময় সব সময় একভাবে নাও যেতে পারে। আর টাকা পয়সাও যে শুধু সুখ এমনটাও ভুল। সংসারে টাকা পয়সার চেয়ে ভালবাসাটা গুরুত্বপূর্ণ। ভালবাসা থাকলে সুখ শান্তি পাশে থাকে, যা অর্থ দিয়ে কেনা যায় না।

একটি কথা স্মরণ রাখবেন-সন্তান যে কেউ জন্মাতে পারে। কিন্তু আদর্শ বাবা-মা সবাই হতে পারে না। আপনাদের মেয়ের করুণ পরিণতির জন্য আপনারা দুজনই দায়ি। বিশেষ করে একজন পুরুষ এবং গৃহকর্তা হিসাবে আপনি বেশি দায়ি। কোনভাবেই এর দায়ভার এড়াতে পারেন না। এখন আপনাদের কোলে যে সন্তানটি রয়েছে তারও ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে আপনাদের বর্তমান আচরণের ওপর। ইচ্ছা করলে তাকে সুন্দরভাবে গড়তে পারেন,ইচ্ছা করলে তারও ভবিষ্যৎ ধ্বংস করতে পারেন। তবে প্রতিটারই ভিন্ন ফলাফল রয়েছে। ক্ষতি যা হবার তা হয়ে গেছে। তা নিয়ে ভেবে আর কোন লাভ নেই। এখন আপনারা অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিতে পারেন। আপনাদের কোলের এই সন্তানকে নিয়ে ভাবতে পারেন,স্বপ্ন দেখতে পারেন,নতুন করে সংসার সাজাতে পারেন। আমি চাই আপনাদের সংসার শান্তিময় হোক। আপনাদের সন্তানের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হোক।

মিলন সাহেব নত মস্তকে শুধু হ্যাঁ সুচক মাথা নাড়ছেন। তার দু চোখ পানিতে ঝাঁপসা হয়ে গেছে। বার বার চোখ মুছছেন। মিসেস সুলতানা ফুপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছেন। তার গাল বেয়ে অশ্রু ঝরছে। হঠাৎ এক ফোটা তপ্ত অশ্রু কোলের বাচ্ছার নাকের পাশে পড়তেই সে ঘুম থেকে কেঁদে ওঠলো!

© জীম হামযাহ

চলতি সংখ্যা