কল্পলতা

ঘোলাটে মেঘ আড়ে,
নিরালায় ভেসে বেড়ায়, ঐ সেই দিগন্তে।

অস্ফুটা কদম্ব কালিকা স্নান করে অবিরাম।
এমনও সময়, কল্পলতা ভিড় জমায়
আমার দুচোখের কার্নিশে।

দীঘল দিগন্তে চেয়ে দেখি
আমার কল্পলতায় শুধুই তুমি,
দ্যাখো তোমার অধরে আমার অধর
গিয়েছে মিশি!
দূরে যেখানে আকাশ আর মাটি
মিলে মিশে একাকার হয়ে আছে, ঠিক তেমন।

ঐ সেই দূরে বেনুবনে দক্ষিণা মলয়ে
বাখারি উঠছে বেজে,
মায়াবী তুমি, মায়াবী তোমার দিঠি
ঠিক তখনি আমার কল্পলতায়,
তোমার তনু আর আমার তনু
মিলে মিশে এক হয়ে গেছে!
আঁকড়ে ধরেছে তোমার দুবাহু –
এই আমাকে!

গায়ের বধূ তার অন্তরে লালন করা স্বপ্নটা
যেমন নকশিকাঁথায় তুলে,
হাতে তার দীর্ঘ সুতো-
চোখে তার মায়া মাধুরি জড়ানো
ঠিক তেমন করেই,
আঁকড়ে ধরেছ তুমি আমকে।

আর প্রিয়জনের কথা স্মরণ করে
নকশিকাঁথায়, কুমারী কন্যা যে ছবি আঁকে।
আমিও ঠিক তেমন করেই,
তোমায় নিয়ে ছবি আঁকছি
আমার হৃদয়ের ক্যানভাসে।

এমনও সময় বাদল ভিজিয়ে দিলো
তোমাকে- আমাকে,
কুমারী কন্যা তুমি আমি হলাম কুমার,
তুমি বলছ আমায় ছাড় ছাড়
মন তো কিছুতেই দেয়না ছাড়!

তখনি আমার ঘুম গেল ভেঙ্গে
আসলে সবটাই আমার কল্পলতা
বাস্তব নয় এতোখানি!!

চলতি সংখ্যা