সারথী তোমাকে বলছি

তোমাকে বলছি সারথী
কি হলো ? বুঝতে পারছো না?
খুব বেশি তো জটিলতা নেই,
কি জানি? আছে হয়তো !
মানুষের তো কত ভুল হয়।
ইচ্ছায়, অনিচ্ছায়;
আমি না হয় ইচ্ছাটাকেই বেছে নিলাম।
বুঝলেনা কখনোই তুমি !
মস্তিষ্কের অন্দর প্রকোষ্ঠে ঢুকলনা সরল কথাগুলো,
হয়তো ঢুকাওনি।
তুমিও মাকাল ফলের সভ্যতাকেই গ্রহণ করলে?
আমি পারিনি, হয়তো পারবোনা কখনো,
নচেৎ এই সভ্যতাতেই বিলীন হয়ে যাব একদিন
এটাই আমার আদিমতা, বড়ই সেকেল।

বিবর্তনবাদে তোমার অবদান কতটুকু?
পাচ্ছিনা কিছুই আমি,
নাট্যমঞ্চের অভিনেতার মতই তুমি বন্দি
কেবল নেচে চলেছ নিত্য নতুন পসরা সাঁজাতে
সেই আদিমতায়।
অথচ আমাতে তোমাতে কত তফাৎ !
মানসিকতায়,মস্তিষ্কে,আচরণে
আমি নির্জীব,জরাগ্রস্ত দুর্বল
অথচ প্রশান্তির ছায়ায় বুক ফুলিয়ে

আপন অস্তিত্ব জানান দিতে ব্যাধিগ্রস্ত
আর তুমি?
হাস্যোজ্জ্বল প্রাণবন্ত, কিন্তু ভীতসন্ত্রস্ত
আতঙ্কগ্রস্ত চোখ নিয়ে অপেক্ষামান নতুন আক্রমণের ভাবনায়
সেখানে তুমি পরাজিত,
হায়েনার মত মানুষরূপী আধুনিক সভ্যতা
তোমাকে খুবলে খুবলে খাচ্ছে।
তোমাকে আদিম নগ্নতা থেকে সভ্য করেছে
আরো বেশি নগ্ন করছে নতুন সভ্যতার প্রয়োজনে
আজ তুমি বড়ই ক্লান্ত তোমার অভিনয়তায়
পণ্যতা সীমাবদ্ধ করেছে তোমার পৃথিবী,
তুমি দৌড়াচ্ছ,কারণ তোমাকে পালাতে হবে
কেবল পালানোতেই তোমার মুক্তি।
কিন্তু পৃথিবীর আপন অর্ধাংশ তুমি হারিয়ে ফেলেছো।
রাণীর আসন ছেড়ে গ্রহণ করেছো দাসত্বের মুকুট,
বারবার তলিয়ে যাচ্ছো নতুন নতুন সভ্যতায়
ক্ষণিকেই ভোগপিপাসু সভ্যতা তোমায় ছুড়ে ফেলে দিচ্ছে
তুমি হয়ে পড়ছো একা।
অথচ শরীরে ক্ষত চিহ্ন আরো বেশি।
তোমার চিৎকারে আকাশ বাতাস ধ্বনিত
যে চিৎকার ঢুকছেনা মানুষ্য কর্ণগহবরে
অসহায় অশ্রুসিক্ত চোখা জানান দিচ্ছে তুমি পরাজিত।
তুমি পরাজিত তোমার শিক্ষায়
পরাজিত তোমার মানসিকতায়, তোমার শরীরে
হেঁয়ালি দৃষ্টিতে বারবার ভস্ব হচ্ছে
তোমার নষ্ট অকেজো সে শরীর
কখনো অশ্রুশুন্য দৃষ্টিতে মৃত্যুকে আলিঙ্গন
অবশেষে নিস্তব্ধ নিথর পৃথিবী।

চলতি সংখ্যা